পাইকারিসেল ডিলারশিপ পলিসি
পাইকারিসেলের ডিলারদের কী কী দেওয়া হবে?
1. বিনিয়োগ-বিহীন ডিলারশিপ: বর্তমানে ৫০,০০০ টাকার ডিলারশিপ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে, এই মুহূর্তে কোন অর্থের বা বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।
2. ডিলারশিপ সার্টিফিকেট: প্রত্যেক ডিলার একটি ডিলারশিপ সার্টিফিকেট পাবেন, যা অফিসিয়াল পরিচিতি হিসেবে কাজ করবে এবং তাদের মনোনীত এলাকায় তিনি একজন পাইকারিসেলের অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটর বা ট্রেড পার্টনার বা কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে তাদের অবস্থার স্বীকৃতি পাবে।
3. সেলস কমিশন: ডিলারদের গ্যারান্টি থাকবে যে, কোন গ্রাহক ডিলারের মাধ্যমে পাইকারিসেল থেকে কিছু কিনলে ডিলার একটি সেলস কমিশন পাবেন। এর মানে হল, ডিলার এর মাধ্যমে কোন গ্রাহক অথবা ব্যবসায়ী কিছু ক্রয় করলে ডিলার সেলস কমিশন পাবেন।
4. এলাকাভিত্তিক গ্রাহক কমিশন: এছাড়াও, ডিলারের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার না আসলেও তাদের নির্ধারিত সেই এলাকা থেকে অন্য কোন অর্ডার আসলেও তাদের একাউন্টে এলাকাভিত্তিক একটি মিনিমাম কমিশন যোগ হবে। যারফলে ডিলারগণ প্রতিনিয়ত কমিশনের অংশ মাস শেষে পেতে থাকবেন। এই ধরণের এলাকা ভিত্তিক কমিশন বর্তমানে শুধু পাইকারিসেল-ই অফার করছে, যা অন্য কোথাও পাবেন না।
5. নিয়মিত লভ্যাংশ প্রাপ্তি: ডিলারদের সঙ্গে পাইকারিসেল লভ্যাংশ শেয়ার করবে।
6. প্রোফাইল পেজ: প্রতিটি ডিলারের কোম্পানির ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি প্রোফাইল পোর্টফোলিও থাকবে, যেখানে তারা তাদের ডিলারশিপ প্রোফাইলটি দেখতে ও গ্রাহকদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। যাতে গ্রাহকদের সাথে তাদের একটি বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সম্পৃক্ততা তৈরি হয়।
7. ডিলারশিপের প্রচার: পাইকারিসেল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিলারদের সম্পর্কে বিজ্ঞাপন প্রচার করবে যাতে গ্রাহকগণ আকৃষ্ট হন এবং তাদের বিক্রয় বৃদ্ধি পায়। যদিও আশা করা হচ্ছে ডিলারগণ তাদের নির্ধারিত এলাকায় স্বপ্রনোদিত হয়ে সক্রিয়ভাবে পাইকারিসেলের পণ্য ও সেবা প্রচার ও বিপনন করবেন।
8. মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল এবং প্রশিক্ষণ: পাইকারিসেল তাদের ডিলারদেরকে ব্যবসায়িক প্রচেষ্টায় সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, মার্কেটিং জিনিসপত্র এবং বিক্রয়-সামগ্রী প্রদান করবে।
9. ডিলারদের নিজস্ব বিজনেস ক্লাবের সদস্যপদ: প্রত্যেক ডিলার পাইকারিসেল এর ডিলার গ্রুপ এর অংশ হবেন, যেখানে তারা তাদের আইডিয়া বিনিময় করতে ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন। এবং সহযোগিতার মাধ্যমে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। ডিলারদের কোন ভালো আইডিয়া থাকলে পাইকারিসেল তা বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে।
10. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: ভবিষ্যতে আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরির মূল্যবান পণ্য পাইকারিসেলে যুক্ত হবে। যা ব্যবসার পরিধি আরও বাড়াবে, ফলে ডিলারশিপের মূল্য এবং ডিলারদের উপার্জনের সক্ষমতা অনেক বাড়বে।
11. মালিকানার গ্যারান্টি: ডিলার যদি ব্যবসা ছেড়ে যেতে চান বা ডিলারের চুক্তিতে বর্ণিত বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে না পারেন তবে তিনি ডিলারশিপটি বিক্রি করতে পারেন। যদি তার বিরুদ্ধে কোন নৈতিক অভিযোগ না থাকে।
কিভাবে পাইকারিসেলের ডিলার হবেন
একজন পাইকারিসেল ডিলারকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো প্রদান করতে হবে:
1. ঠিকানা: প্রত্যেক ডিলারকে একটি প্রকৃত ঠিকানা দিতে হবে (তাদের বাড়ি বা দোকান বা গোডাউন ঠিকানা হতে পারে)।
2. একটি স্মার্টফোন ডিভাইস: ডিলারদের ব্যবসার জন্য একটি স্মার্টফোন এবং একটি ফোন নাম্বার থাকতে হবে।
3. ছবি এবং ভিডিও: প্রত্যেক ডিলারকে একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট-সাইজের ছবি এবং সেলফি স্টাইলে একটি এক মিনিটের পরিচিতি ভিডিও প্রদান করতে হবে, যাতে তাদের সম্পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যায়। (ভিডিও ফরম্যাট এবং উদাহরণ দেওয়া হবে)। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ও পাইকারিসেল ডিলার পেজে ব্যবহার করা হবে। ভিডিওগুলো পাইকারিসেল আপাতত নিরাপত্তাজনিত কারণে সংরক্ষণ করবে এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে ডিলারদের অনুমতি নিয়ে মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
4. সাইনবোর্ড/ব্যানার: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য তাদের ডিলারশিপ বা স্টোর প্রদর্শনের জন্য একটি সাইনবোর্ড/ব্যানার তৈরি করতে হবে (ডিজাইন দেওয়া হবে)। প্রয়োজনে আমরা ব্যানার, মেমো এবং আনুসাঙ্গিক জিনসপত্র বানিয়ে ডিলারদেরকে ডেলিভারি দিয়েও সাহায্য করতে পারি।
যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা:
1. ন্যূনতম এসএসসি পাস: ডিলারদের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা এর সমমানের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। ডিলারদের ইন্টারনেট ব্যবহার জানতে হবে এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে সরাসরি এবং ফোনে অর্ডার গ্রহণ করে তা পাইকারিসেল.কম ওয়েবসাইটে অর্ডারিং সিস্টেমের মাধ্যমে অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রেও দক্ষতা তৈরি করে নিতে হবে।
2. মার্কেটিং/বিক্রয় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে: গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা সেবাগুলো প্রচার করার জন্য ডিলারদের মার্কেটিং অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রতিশ্রুতি:
1. শ্রম ঘণ্টা ও দায়িত্ববোধ: প্রত্যেক ডিলার তাদের ডিলারশিপ ব্যবসায় প্রতিদিন তাদের সময়ের কমপক্ষে ৪ ঘন্টা বা সাপ্তাহিক ন্যূনতম ২৪ ঘন্টা ব্যয় করবে। এবং তাদের ব্যবসার বৃদ্ধিতে কর্মঠ এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
2. নৈতিক প্রতিনিধিত্ব: প্রতিটি ডিলারকে সততার সাথে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে এবং গ্রাহকদের কাছে প্রতিদিন সশরীরে পাইকারিসেলের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। সৎভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে তাদের ডিলারশিপ বাতিল বলে গণ্য হবে। (বিস্তারিত ডিলার চুক্তিতে রয়েছে)
পাইকারিসেল ডিলার প্রশিক্ষণ মডিউল
আমাদের আদর্শ: "ব্যক্তিগত ক্ষমতায়ন এবং উদ্যোক্তা সত্তাকে উৎসাহিত করা। "
পাইকারিসেল সংস্থার কাঠামো: পাইকারিসেল একটি বাণিজ্যিক কোম্পানি। ডিলাররা এই কোম্পানির স্বাধীন এজেন্ট হবেন এবং তাদের ব্যবসায়িক এলাকায় ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া, সময় এবং খুচরা বিক্রেতাদের সাথে তাদের সম্পর্ক, সম্পূর্ণ তাদের অধিকারে থাকবে।
ডিলার মডেলটি কার্যকর করার পরিকল্পনা
পাইকারিসেলের এক্সিকিউটিভ দল প্রাথমিক পণ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করবে।
ডিলাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে পাইকারিসেল.কমের মাধ্যমে অর্ডার দিবে। এবং ট্রান্সপোর্ট থেকে পণ্য সংগ্রহ করে তা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডেলিভারি নিশ্চিত করবে। এবং গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া ও পরামর্শ পাইকারিসেলকে জানাবে।
"পাইকারিসেলের সাথে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, ডিলারদের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে এবং ব্যবসা বৃদ্ধি করতে ও আয় উপার্জন করতে তাদের সামান্য বিনিয়োগ করলেই চলবে।
ভিন্নভাবে কাজ করার পরিকল্পনা:
1. পাইকারিসেলের ব্যবসায়িক কাঠামোটি সমস্ত ডিলারদের কর্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
2. ডিলারদের সঙ্গে লভ্যাংশ শেয়ার করা।
3. ব্যক্তিগত/ডিলারদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো
4. আইডিয়া, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, এবং অনলাইন অবকাঠামো ভাগ করার মাধ্যমে একসাথে বেড়ে উঠা
5. আরও ভালো আইডিয়া বাস্তবায়ন করে নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আয় বাড়ানো
ডিলারশিপ মডেলের সুবিধা
এই ডিলার মডেলটি একটি কর্মী সমবায় ব্যবস্থা। বেতনপ্রাপ্ত কর্মীদের চেয়ে ডিলারদের স্বাধীনতা অনেক বেশি।
আর্থিক সুবিধা:
1. ডিলারদের নূন্যতম বিনিয়োগ
2. বেশি পরিমাণে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বড় ধরণের ডিসকাউন্ট থাকে। তাই সমস্ত ডিলারদের সম্মলিত অর্ডারের কারণে প্রত্যেক ডিলারদের পাইকারিসেল প্রতিটি পণ্যে একটি ভাল ডিসকাউন্ট দিতে পারে।
3. সমস্ত ডিলারদের সম্মিলিত অর্ডার তৈরির কারণে ফ্যাক্টরি এবং সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে পাইকারিসেল অগ্রাধিকার পাবে।
4. ব্যবসায়িক যে কোন সুযোগ সনাক্ত করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রত্যেক ডিলারদের উপার্জনের সক্ষমতা আরো বাড়বে।
5. দেশব্যাপী অনেক বড় পরিসরে গ্রাহকদের কাছে পৌছানোর ক্ষমতা।
6. ডিলার এবং পাইকারিসেলের বিশাল নেটওয়ার্কের কারণে খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে স্বীকৃতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে
7. গুগল, ফেইসবুক, ইউটিউব, টিকটক (Google, Facebook, Youtube, Tiktok) ইত্যাদির মাধ্যমে মার্কেটিং এবং প্রচারের কার্যকারিতা বেশি থাকে।
কাজ-জীবনের ভারসাম্য সুবিধা:
1.প্রোডাক্ট স্বাধীনতা: ডিলাররা তাদের পছন্দের পণ্যগুলো নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
2. কাজের সময় স্বাধীনতা: (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হতে হবে না) তারা তাদের সুবিধামতো সময়ে কাজ করতে পারবেন।
3. সময় ব্যয় করার স্বাধীনতা: কিছু সপ্তাহ তারা ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির কারণে কম কাজ করতে পারে এবং প্রয়োজনে সময় থাকলে বেশি কাজও করতে পারবেন।
4. কাজের স্বাধীনতা: প্রচেষ্টা এবং উদ্ভাবনের উপর ভিত্তি করে সে তার মতো করে উপার্জন করতে পারবেন।
5. মালিক-কর্মচারি সম্পর্কবিহীন: মালিক - কর্মচারী সম্পর্কের তুলনায় ডিলাররা মূলত তাদের নিজস্ব সময় এবং প্রচেষ্টার দায়িত্বে উদ্যোক্তা হিসেবে থাকবেন, এবং সে ভাবেই সম্মান পাবেন।
6. অভিজ্ঞতা শেয়ার: ডিলাররা তাদের আইডিয়া, ক্রয় ও সরবরাহ পদ্ধতি, অভিজ্ঞতা ইত্যাদী ডিলারগ্রুপের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন।
**বিস্তারিত জানতে আমাদের এক্সিকিউটিভ টিমের সাথে যোগাযোগ করুন। 01961916057